পরিক্ষামুলক ভুরুঙ্গামারিতে জমি নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত

ভুরুঙ্গামারিতে জমি নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত



নাবাডেষ্ক:জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে  ভূরুঙ্গামারীতে ৭ জন আহত হয়েছে। এছাড়া একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের ধামেরহাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছােট গোপালপুর গ্রামে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মৃত নওশের আলীর ছেলেদের সাথে আমজাদ আলীর ছেলেদের বিবাদ চলছিল।

শুক্রবার সকালে ওই জমির সীমানা নির্ধারণ কালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। 

আহতরা হলেন  পরিজন বেগম (৩৫), চায়না বেগম (২৫), লাভলু মিয়া (৩৭),  আজিজুল হক(২৭), আকতার হোসেন (৪১), আলআমিন (২১), মাইদুল ইসলাম (২৭)। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাইদুল ও আলআমিনকে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গুরুতর আহতদের বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দু,জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৫ জনকে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। 

আহত আজিজুল হক জানান, মৃত নওশের আলীর ছেলেদের সাথে ২০ শতাংশ জমির একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। শুক্রবার দশটার দিকে নওশের আলীর ছেলেরা ওই জমি মাপতে এসে আমাদের বাড়ির বেড়াচাটি ভেঙে ফেলে। একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে লাভলু ও পরিজনের শরীর পুড়ে গেছে। এছাড়া গর্ভবতী চায়না বেগমকে তাঁরা এলোপাতাড়ি লাথি মারে।

মৃত নওশের আলীর ছেলে আব্দুল বরেক জানান, দলিল বলে আমরা ওই জমির মালিক। শুক্রবার আমরা জমির সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে আমজাদ আলীর ছেলেরা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আকতার, মাইদুল, আল আমিন ও আমি নিজে আহত হই। আমজাদ আলীর ছেলেরা নিজেদের ঘরে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগে তাঁরা আমাদের ফাঁসানো চেষ্টা করছে।

স্থানীয়রা জানান, যে জমি নিয়ে দ্ব›দ্ব ওই জমির মধ্যে ৮ শতাংশ জমি সরকারের খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। উভয় পক্ষ খাসের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক শাহীন শিকদার সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন  ওই জমি নিয়ে ইতিপূর্বে দু'বার গ্রাম্য শালিস হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  আলমগীর হোসেন জানান, জরুরী সেবা সার্ভিসে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


খবর ও ছবি : জুয়েল

আগের বার্তা পরের বার্তা

Contact Form