স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার উপেন্দ্রনাথ বাবু ও আব্দুল মালেকের ছেলে খোকনের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। শনিবার সকালে উপেন্দ্রনাথ বাবু তার দখলে থাকা বিরোধপূর্ণ জমিতে চাষ করতে যান। চাষ বন্ধে পুলিশের সহায়তা চাইলে কচাকাটা থানার এসআই রবিউল ইসলাম, এএসআই মশিউর রহমান দুই কনস্টেবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তারা চাষ বন্ধ করে দিয়ে পাওয়ার টিলারের দুটি হ্যান্ডেল নিয়ে উপেন্দ্রনাথ বাবুকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তারা বলদিয়া বাজারে পৌঁছলে বলদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সরকার এসআই রবিউলের কাছে উপেন্দ্রনাথকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই রবিউল তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তাকেও থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য হাত ধরে টানাটানি করেন। স্কুলে তালা লাগানোসহ এলাকার সবার ঘুম হারাম করারও হুমকি দেন এসআই রবিউল। এতে উপস্থিত লোকজন চড়াও হয়ে ওই চার পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ ও রাস্তায় ড্রাম ফেলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কচাকাটা থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত লোকদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা চান তিনি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, জমাজমি নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে, স্থানীয় একজন ফোনে এমন তথ্য দিলে চার পুলিশ সদস্যকে সেখানে পাঠানো হয়। সেখানে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।