♦ভূমিকাঃআল্লাহ তায়ালা পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। ক্ষমা তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুণ। তিনি বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সময় বরাদ্দ করেছেন । সে সময়ে তিনি মহাপাপীদের মুক্তি দেন, স্তর তরান্বিত করেন ও মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। এই মহাঅফার সমূহের একটি হলো শবে বরাত।
♦শবে বরাত কী কুরআন-হাদীসের পরিভাষা?
শবে বরাত শব্দটি কুরআন ও হাদীসের প্রচলিত কোনো পরিভাষা নয়।কেবল ভারতীয় উপমহাদেশেই শবে বরাত শব্দটি প্রচলিত। এর কুরআনিক কোনো পরিভাষা না থাকলেও হাদীসের পরিভাষায় এটিকে ليلة النصف من شعبان (লাইলাতুন নিসফে মিন শা'বান) বা মধ্য শা'বানের রজনী বলা হয়।
♦শবে বরাত কী কুরআন নাজিলের রাত?
শবে বরাত বা লাইলাতুন নিসফে মিন শা'বান এর ব্যাপারে কুরআনুল কারীমে সরাসরি কোনো আয়াত বা বক্তব্য নেই।তবে কেউ কেউ অসতর্কভাবে সূরা দূখান এর ৩-৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় ليلة مباركة বা বরকতময় রজনী দ্বারা শবে ক্বদর বা লাইলাতুন নিসফে মিন শা'বান কে উদ্দেশ্য করেছেন।আয়াতটি নিম্নরুপঃ
﴿ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ . فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ ﴾
“নিশ্চয় আমি এটি (কুরআন)নাযিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়”(সূরা দুখান:৩,৪)।
🔴অত্র আয়াতের ব্যাপারে মুফাসসীরগণের অভিমতঃ
√ইবনুল কায়্যীম (র.) বলেন,
” وهذه هي ليلة القدر قطعا لقوله – تعالى -: إنا أنزلناه في ليلة القدر ومن زعم أنها ليلة النصف من شعبان فقد غلط “
“এটি অকাট্যভাবে কদরের রাত্রি। কারণ আল্লাহ বলছেন, নিশ্চয়ই আমি কুরআনকে কদরের রাত্রিতে নাযিল করেছি। আর যারা শাবানের মধ্য রাত্র ধারণা করছে, তারা আসলে ভুল করছে”।
√ইবনু কাসির (র.) বলছেন,
"ومن قال :إنها ليلة النصف من شعبان فقد أبعد النَّجْعَة فإن نص القرآن أنها في رمضان “
“যারা শাবানের মধ্য রাত্রি বলছেন, তারা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন। বরং এটি যে রমাদান মাসের একটি রাত, সে ব্যাপারে কুরআনের ভাষা সুস্পষ্ট”।
√আল্লামা শানকিতী বলেন, ” إنها دعوى باطلة ” (মধ্য শাবানের দাবী) একটি ভিত্তিহীন দাবী”।
√একজন তাবেয়ী যার নাম ইকরিমা,তিনি বলেছেনঃ ليلة مباركة বা বরকতময় রজনী দ্বারা লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান (মধ্য শাবানের রজনী) বা শবে বরাত উদ্দেশ্য।এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত।ইকরিমা ছিলেন প্রখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এর খাদেম।দ্বিতীয় হিজরী শতকে আন-নাদর বিন ইসমাঈল নামক কুফার এক গল্পকার ওয়ায়েজ ভুলবশত ইকরিমার ব্যক্তিগত অভিমতকে ইবনে আব্বাসের অভিমত বলে প্রচার করেন।হাদীসের ইমামগণ আন-নাদর বিন ইসমাঈল কে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দুর্বল বলে আখ্যা দিয়েছেন।ইমাম নাসায়ী ও যুর'আ বলেছেনঃ সে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও মূল্যহীন। ইবনু হিব্বান বলেন,তার ভুল খুব মারাত্মক।যে কারণে তিনি পরিত্যক্ত বলে গণ্য হয়েছেন। [তথ্যসূত্রঃ যাহাবী,মীযান আল-ইতিদাল ৭/২৬, ইবনু আদী, আল-কামীল ৮/২৬৬,২৬৭, ]
ইকরিমার মতামত নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় সকল মুফাসসীরগণ তার অভিমত বাতিল বলে গণ্য করেছেন।
ইকরিমার বিপরীতে প্রায় সকল সাহাবী,তাবেয়ী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুফাসসীরিনে কেরাম বলেছেন,অত্র আয়াতে ليلة مباركة বা বরকতময় রজনী দ্বারা রামাদান আল কারীমের লাইলাতুল ক্বদর ই উদ্দেশ্য।অত্র আয়াতে বলা হয়েছে, কুরআন নাজিল হয়েছে এক বরকতময় রজনীতে।কিন্তু সেটি কোন রাত তা এই আয়াতে সুস্পষ্ট করে বলা হয় নি।কুরআন ব্যাখ্যার একটি শ্রেষ্ঠ মূলনীতি হলো تفسير القرآن بالقرآن অর্থাৎ,কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর। যেহেতু এই আয়াতে কুরআন নাজিলের বরকতময় রাত সম্পর্কে বলা হয়েছে সেহেতু সেটি মূলত কোন রাত তাও কুরআনের অন্য আয়াতে সুস্পষ্ট করে এভাবে বলা হয়েছে--
إِنَّآ أَنزَلْنٰهُ فِى لَيْلَةِ الْقَدْرِ
নিশ্চয়ই আমি এটি (কুরআন) নাযিল করেছি ‘লাইলাতুল ক্বাদরে।’ (সূরা আল-ক্বদরঃ ০১)।
অতএব,প্রমাণিত হলো যেই রাতে কুরআন নাজিল হয়েছে সেই রাত ক্বদরের রাত।আর সেই রাত রয়েছে রামাদান আল কারীমে।
♦শবে বরাত কী ভাগ্য রজনী?
শবে বরাত শব্দটি ফারসী।যার বাংলা অর্থ হলো- ভাগ্য রজনী।সন্দেহের অবকাশ নেই শবে বরাত অত্যন্ত বরকতময় রাত।তাই বলে শবে বরাতকে ভাগ্য রজনী বলা সুস্পষ্ট সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ি।যদি এই রাতকে ভাগ্য রজনী মনে করা হয় তাহলে তা কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। কারণ কুরআন নাজিল হওয়া ক্বদরের রাতটি ভাগ্য রজনী।সেই রাতে তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করা হয়। সূরা আল ক্বদরে ইরশাদ হয়েছেঃ
تَنَزَّلُ الْمَلٰٓئِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
সে রাতে (লাইলাতুল ক্বদরে) ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে।(সূরা আল-ক্বদরঃ ০৪)।
আবার সূরা দুখানে ইরশাদ হয়েছে--
فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ
“ সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়”(সূরা দুখান: ০৪)।
অতএব,লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান (মধ্য শাবানের রজনী) বা শবে বরাত কে ভাগ্য রজনী বলা বাড়াবাড়ি ও সুস্পষ্ট সীমালঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই নয়।মূলত রামাদানের লাইলাতুল ক্বদর ই হচ্ছে ভাগ্য রজনী।
তবে এই রাত্রিকে যদি আরবীতে ليلة البراءة (লাইলাতুল বারাত) বলা হয় তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ লাইলাতুল বারাত অর্থ হলোঃ ক্ষমা বা মুক্তির রাত।এই রাত ক্ষমার রাত যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
তবে মনে রাখতে হবে,হাদীসের পরিভাষায় এটিকে ليلة النصف من شعبان (লাইলাতুন নিসফে মিন শা'বান) বা মধ্য শা'বানের রজনী বলা হয়।অতএব,আমাদের উচিত হাদীসে উল্লেখিত পরিভাষাটি বলতে অভ্যস্ত হওয়া।
♦ফজিলতঃ
নিঃসন্দেহে শবে বরাত বা লাইলাতুন নিসফে মিন শা'বান অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ রাত্রি।এই রাত্রির ফজিলত অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।কুরআনুল কারীমে এই রাত্রির ব্যাপারে সরাসরি ও সুস্পষ্ট কোনো আয়াত না থাকলেও প্রায় ৮ জন সাহাবী থেকে বিভিন্ন সনদে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে যা শবে বরাত সম্পর্কে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য সহীহ হাদীস।প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহ) এই হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।হাদীসটি নিম্নরুপঃ
« يَطْلُعُ اللَّهُ إِلَى خَلْقِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ»
অর্থাৎ, আল্লাহ তা'আলা মধ্য শাবানের রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। অতঃপর মুশরিক ও হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন।
তাহলে এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হলো,এই রাতে মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া বাকীরা আল্লাহর রহমত,বরকত,ক্ষমা ও করুণা লাভে ধন্য হয়।
এছাড়া শবে বরাত বা লাইলাতুন নিসফে মিন শা'বান সম্পর্কে আরেকটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে,হাদীস বিশারদগণ সেটিকেও মোটামুটি গ্রহণযোগ্য বলেছেন।হাদীসটি নিম্নরুপঃ
ইমাম তিরমিযি (র.) হযরত ‘আইশা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন,
فَقَدْتُ رَسُولَ الله -صلى الله عليه وسلم- لَيْلَةً فَخَرَجْتُ فإذا هو بِالْبَقِيعِ فقال: أَكُنْتِ تَخَافِينَ أَنْ يَحِيفَ الله عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ، قلت: يا رَسُولَ اللَّهِ إني ظَنَنْتُ أَنَّكَ أَتَيْتَ بَعْضَ نِسَائِكَ، فقال: إِنَّ اللَّهَ عز وجل يَنْزِلُ لَيْلَةَ النِّصْفِ من شَعْبَانَ إلى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَغْفِرُ لِأَكْثَرَ من عَدَدِ شَعْرِ غَنَمِ كَلْبٍ
“একদা রাত্রিতে আমি রাসূল (স.) কে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাই তার সন্ধানে বের হলাম। গারকাদুল বাকীতে গিয়ে তাকে পেলাম। তিনি বললেন, তুমি কি আশঙ্কা করছিলে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (স.) তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ভেবেছিলাম, আপনি আপনার অন্য কোন স্ত্রীর কাছে গিয়েছেন। তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা অর্ধ শাবানের রাত্রিতে দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ হন এবং বনী কালবের ছাগল পালের লোমের চেয়ে অধিক পরিমাণ মানুষের গুনাহ মাফ করেন”।
উক্ত হাদীসগুলো ছাড়া শবে বরাত সম্পর্কে যতো হাদীস বর্ণিত হয়েছে হাদীস বিশারদগণ সেগুলোর কোনো কোনোটিকে ضعيف বা দুর্বল এবং কোনো কোনোটিকে জাল ও বানোয়াট বলে অভিহিত করেছেন।
♦শবে বরাতের নামাজ ও রোজাঃ
শবে বরাতের আলাদা কোনো নামাজ বা রোজা নেই।এই রাতে নামাজ আদায়ের আলাদা কোনো পদ্ধতিও নেই। তবে সালাফদের কেউ কেউ এ রাতে নফল ইবাদাত করেছেন।তাই এই রাতে কেউ যদি নফল সালাত আদায় করে তাতে কোনো অসুবিধা নেই।তবে এসব একাকী করাই উত্তম।
আর মধ্য শাবানের দিনে রোজা রাখার আলাদা কোনো বিধান ইসলামে নেই।তবে কেউ যদি 'আইয়্যামে বীদ' অর্থাৎ ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই।কারণ আল্লাহর রাসূল (সা) প্রত্যেক মাসের এই ৩দিন রোজা রাখতেন।
তবে মনে রাখা দরকার,
ফরজ সালাত ও ইবাদাত বাদ দিয়ে নফল আদায়ে কোনো স্বার্থকতা ও সফলতা নেই।তাই যারা ফরজ সালাত ও ইবাদাতের প্রতি উদাসীন তাদের নফল ইবাদাত মূল্যহীন।আর যারা ফরজ সালাত ও ইবাদাতের প্রতি যত্নশীল তারা এই রাতে ঘুমিয়ে থাকলে ও সাওয়াব পাবেন।
♦করণীয়ঃ
যাদের প্রাত্যহিক বা প্রায়ই রাত জেগে ইবাদাতের অভ্যাস আছে তারা অন্যদিনের মতো এই রাতও ইবাদাতে কাটাতে পারেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই।তবে এসব ইবাদাত একাকি করাই উত্তম।মনে রাখা দরকার, কেউ যদি শবে বরাতের নামাজ নামে আলাদা কোনো নামাজ এই রাতে আদায় করে তাহলে তা হবে বাড়াবাড়ি ও সুস্পষ্ট সীমালংঘন।সন্দেহ নেই এই রাত ফজিলতপূর্ণ,তবে এটাও সত্য এই রাতের আলাদা কোনো নামাজ রাসূল (সা) বা তার সাহাবাগণ কখনো আদায় করেন নি।
মোটকথা হলো,অভ্যাসগত কারণে এই রাতে নফল ইবাদাত করায় কোনো বাধা নেই।
♦বর্জনীয়ঃ
শবে বরাতকে কেন্দ্র করে নিম্নে উল্লেখিত প্রত্যেকটি কাজ অবশ্যই বর্জনীয়ঃ
√ শিরকে লিপ্ত হওয়া।
√ হিংসাত্মক কাজ করা।
√ আল্লাহর নাফরমানীমূলক কাজ করা।
√ সমবেত হয়ে ইবাদাত বন্দেগী করা।
√ মসজিদ,মাজার ও কবরস্থান আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা।
√ এ রাতে মৃত ব্যক্তির আত্মা তার গৃহে ফিরে আসে এমন ধারণা করা।
√ আতশবাজি ফোটানো।
√রাতে ইবাদাতের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় গোসল করাকে ফজীলতপূর্ণ মনে করা।
√ এ রাতকে খাওয়া দাওয়া ও উৎসবের রাতে পরিণত করা।
√ এ রাতকে ভাগ্য রজনী মনে করা।
♦উপসংহারঃ
পরিশেষে বলবো,ফরজ ও নফলের সীমারেখা অনুধাবন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সারাজীবনের নফল ইবাদত একটি ফরজ ইবাদতের সমান হবে না।নফলের পেছনে দৌড়ে আমরা মাঝে মাঝে ফরজ সালাতগুলোকেও তরক করে ফেলি।এর চেয়ে কঠিন আত্মপ্রবঞ্চনা আর কিছুই হতে পারে না।
মহান আল্লাহ বান্দাদের প্রতি একটি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন,আর তা হলো- তিনি তার বান্দাদের ইবাদত-বন্দেগীতে কোনো ত্রুটি হলে তার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। যেমনঃ নফল সালাত দ্বারা ফরজ সালাত আদায়ে ভুল-ত্রুটিগুলো পুষিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।তাই ফরজগুলো যথাযথ আদায় করে এরপর সুন্নাত ও নফল আদায় করলেই সুফল পাওয়া যাবে।আর সমস্ত ইবাদাত হবে আল্লাহ ও রাসূল (সা) এর নির্দেশিত পন্থায়।মনগড়া কোনো ইবাদাত শরীয়তে গ্রহণযোগ্য নয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দ্বীনের পথে পরিচালিত করুন.....।।
এম. হাসিবুর রহমান
১৭/০৩/২২