নাবাডেষ্ক : নাগেশ্বরীতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুড়ালের কোপে খুন করলেন তার স্বামী। রোববার (২১ জানুয়ারি) ভোররাতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পৌরসভা এলাকায় এ খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম লতা রানী (৪০)। তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী সত্যচন্দ্র শীল পলাতক বলে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রূপ কুমার সরকার নিশ্চিত করেছেন।
তার বাড়ি নাগেশ্বরী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কবিরের ভিটা এলাকায়।
সাগর দেখতে পায়, তার মায়ের গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে আছে এবং তার পাশে বাবা সত্যচন্দ্র শীল দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এরপর বাবা ও ছেলের বাগবিতণ্ডায় পরিবারের বাকি সদস্যরা জেগে ওঠেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় করেন। সেই সুযোগে লতার স্বামী সত্যচন্দ্র শীল পালিয়ে যান।
শামসুল হক জানান, প্রায় এক বছর আগে থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ চলছিল। এর মধ্যে নিহত লতা রানী স্বামীকে না জানিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা ঋণ করেন। সেই ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু জমি বিক্রি করেছেন তিনি। এছাড়াও ঋণ পরিশোধের লতা রানী ঢাকা গিয়ে কাজ করতে চাইলে তাতে রাজি হননি তার স্বামী।
এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মরদেহের বর্ণনা দিতে গিয়ে শামসুল হক বলেন, শনিবার দিনগত রাত তিনটার দিকে আওয়াজ শুনে আমি সেখানে যাই। গিয়ে বাবা ও ছেলের বাগবিতণ্ডা দেখতে পাই। ঘরে গিয়ে দেখি, বিছানায় গলাকাটা লাশ। বিছানার নিচে রক্তমাখা কুড়াল। আমি ধারণা করছি, ঘুমন্ত অবস্থায় লতা রানীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রূপ কুমার সরকার জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।