পরিক্ষামুলক নাগেশ্বরীতে বন্যায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা

নাগেশ্বরীতে বন্যায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা



নাবাডেষ্ক: নাগেশ্বরীতে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি। ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। টানা বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ফুলকুমার নদ ও গঙ্গাধর, শংকোষ নদীর পানি।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নুনখাওয়া পয়েন্টে দুধকুমারের পানি বিপদসীমার ৯ সে.মি. নিচে ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৪৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ইতোমধ্যে দুই পাড়ে ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে এসব নদ-নদীর পানি। তলিয়ে গেছে রায়গঞ্জ, বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ি, কালীগঞ্জ, ভিতরবন্দ, নুনখাওয়া, নারায়নপুর, কচাকাটা, কেদার, বল্লভেরখাস ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো। ডুবে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি।

বল্লভেরখাস ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের সুভাষ দাস, সুজন দাশ, সিংগীমারী গ্রামের মাহাবুর রহমান, কচাকাটার রতন, খলিলসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেকেই জানান, বাড়িতে পানি না উঠলেও চারদিকে পানি। তলিয়ে গেছে সড়ক। অবরুদ্ধ তারা। পূর্ব সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, এ বন্যায় তলিয়ে গেছে তাদের বাজারে যাওয়ার একমাত্র পথ পূর্ব সাঞ্জুয়ারভিটা-নাগেশ্বরী সড়ক। হাঁটুপানি পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। আমরা সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা ৬০ মে.টন জিআর চাউল বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে ৫০ মে.টন চাউল বানভাসিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আড়াই লক্ষ টাকার শুকনা খাবার ক্রয় করা হচ্ছে সেগুলো সরেজমিন গিয়ে বানভাসিদের দেওয়া হবে।

খবর ও ছবি: ইত্তেফাক/কির্তীকা সেন বিল্টু


আগের বার্তা পরের বার্তা

Contact Form